নড়াইলে এক গৃহবধু গণধর্ষণের শিকার এবং সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অসুস্থ্য দৃুজনকেই নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২ জুলাই)
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার (২ জুলাই) বিকালে লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের মাইগ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী তিন সন্তানের জননী তার বাড়ির পাশের মৎস্য ঘেরের পাড়ের সবজি ক্ষেতে পুঁইশাক তুলতে যান। এর পাশেই তাদের একটি কলাবাগান রয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, কলাবাগানে এক কাঁধি কলা কাটা দেখে তিনি সেখানে এগিয়ে যান। এসময় কলা কে কেটেছে জানতে চেয়ে চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে কলাবাগান থেকে তেলকাড়া গ্রামের সুলতান মোল্যার ছেলে মিলন (৩০) এগিয়ে এসে সে কলা কেটেছে বলে জানান। এর পরপরই আরো ৩/৪ জন এগিয়ে এসে তার মুখ চেপে ধরে।
এক পর্যায়ে জোরপূর্বক তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়।
ঘটনার পর বিষয়টি তার স্বামীকে মোবাইলে জানানোর পর তার স্বামী প্রতিবেশিদের জানান। পরে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে পরে তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। তার তিনটি সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা নড়াইল সদর হাপসাতালে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা গ্রামের ৭ বছরের এক শিশুকে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ্য ওই শিশুকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, ধোপাখোলা গ্রামের তুষার বিশ্বাস ওরফে ধেনু বিশ্বাস (৬৫) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তার প্রতিবেশি নাতনীকে (৭) আম খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে যান। এসময় ওই শিশুটিকে লোভ-লালসা দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকালে শিশুটির কান্নায় প্রতিবেশি এক মহিলা টের পান। পরে বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে তারা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। বিষয়টি নড়াইল সদর থানা পুলিশকে জানানোর পর সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমানুল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অসুস্থ্য ওই শিশুকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
নড়াইল সদর থানা পুলিশকে জানানোর পর সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমানুল্লাহ জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ধোপাখোলা গ্রামের তুষার বিশ্বাস ওরফে ধেনু বিশ্বাসকে (৬৫) আটক করা হয়েছে। জানাগেছে, দুটি ধর্ষণের ঘটনায় দুটি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।